“আসসালাতু খায়রুম মিনান নাউম।” (ঘুম থেকে নামায ভালো) মুহাম্মাদ নুরুল ইসলাম

 


আমাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছে। প্রতি ওয়াক্ত নামাযের শুরুতে আযান দেওয়া হয়। অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে পাঁচবার আযান দেওয়া হয়। পাঁচ ওয়াক্ত আযানের চার ওয়াক্ত আযানের মাঝে কোন ভিন্নতা নেই। এক ওয়াক্তে (ফজর) একটু ভিন্ন। ভিন্নতা হলো, ফজরের আযানে একটি বাক্য বাড়িয়ে বলা। বাক্যটি হলো —
“আসসালাতু খায়রুম মিনান নাউম।”
(ঘুম থেকে নামায ভালো)
আচ্ছা এই বাক্যটি ফযরের আযানে কেন বৃদ্ধি করা হয় বা বৃদ্ধি করার কারণ কী? ফযরে আযানে এইরূপ বলা কখন হতে শুরু হল? ইহা কি পরে প্রচারিত হয়েছে, না নবী করীম(ﷺ) এর সময় হতে ইহা বিধিবদ্ধ?
এই প্রশ্নের উত্তরই হলো আজকের আলোচ্য বিষয়।
একদা বিলাল রা. ফযরের আযান দিলেন। এরপর রাসূল(ﷺ)এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন। দেখলেন, রাসূল (ﷺ) নিদ্রা হতে এখনো জাগ্রত হয়নি। এদিকে ফযরের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার উপক্রম। কিন্তু রাসূল (ﷺ) কে জাগানো হলোনা এখনো। রাসূল (ﷺ) কে জাগাতে দরজায় টোকা দিতে দরজার দিকে হাত বাড়ায় আবার হাত নিয়ে নেই। এভাবে কয়েকবার এরকম করেন।
শেষে কী করবে কূল না পেয়ে আওয়াজ দিলেন— “আসসালাতু খায়রুম মিনান নাউম।” রাসূল (ﷺ) শুনা মাত্রই ঘুম থেকে উঠে গেলেন। এরপর বিলাল রা.কে বলেন— তুমি খুব সুন্দর বাক্য উচ্চারণ করলে। হে বিলাল! আজ থেকে ফযরের আযানের মধ্যে এই বাক্যটি বাড়িয়ে বলবে। এরপর থেকেই ফযরের আযানে এই বাক্যটি বৃদ্ধি করা হয়, যা আমাদের পর্যন্ত এসেছে।
ফযরের আযানের এই অতিরিক্ত বাক্যদ্বয় রাসূল (ﷺ) এর জীবদ্দশায়ই বিধিবদ্ধ হয়েছে। এটার সমর্থনে আরও একটি হাদীস উদ্ধৃত করা হয়েছে। হযরত আবূ মাহযূরাতা (রা.) বলেন—
আমাকে রাসূলে করীম (ﷺ) আযান শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন— ফযরের আযানে ‘হাই-আল্লা-ফালাহ’ বলার পর ‘আসসালাতু খায়রুম মিনান নাউম বলবে।- আবূ দাউদ, বিনে হাব্বান।
~মুহাম্মাদ নুরুল ইসলাম।
০৭.১০.২০২১ঈ.

Post a Comment

Previous Post Next Post

Nepali Graphics - Learn design, Animation, and Progrmming