বিলাসবহুল গাড়িটি আজহারীর নয়, তবে কার?
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
আলোচিত ধর্মীয় বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর বেশ কিছু ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে। ছবিতে একটি বিলাবহুল গাড়ি চালাতে দেখা গেছে আজহারীকে।
ছবিতে আজহারীকে ‘বেন্টলি স্টাইল স্পার’ মডেলের যে গাড়িটি চালাতে দেখা যাচ্ছে তার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫ কোটি টাকা।
ছবিগুলো আজহারীর সমালোচকরা বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও ‘নাইদরেইনস’ নামে এক আইডি থেকে পোস্ট করে প্রশ্ন ছুড়ছেন, ইসলামের একজন দাঈ হয়ে মালয়েশিয়ায় কি করে এতো দামি গাড়ি কেনেন আজহারী? মাহফিলে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) ও সাহাবাদের ত্যাগী ও সাদাসিধে জীবনের কথা বলে মালয়েশিয়ায় কি তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন?
সমালোচকরা বলছেন, দেশে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেই মালয়েশিয়ায় চলে গেছেন আজহারী।
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আজহারীভক্তদের সঙ্গে তার বিরোধীরা তুমুল বাকবিতণ্ডায় মেতেছেন।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বিলাসবহুল গাড়ি আজহারীর নয় এবং তিনি মালয়েশিয়ায় গিয়ে এ গাড়ি চালাননি। ছবিগুলোও সম্প্রতি সময়ের তোলা নয়।
মূলত এ গাড়িটি আজহারী চালিয়েছেন সিঙ্গাপুরে। আর গাড়ির মালিকের নাম-সাহিদুজ্জামান টরিক।
সাহিদুজ্জামান টরিকের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, সাহিদুজ্জামান টরিক সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বারের সাবেক সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। গত বছরের আগস্টে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ কমিউনিটির নিমন্ত্রণে এক মাহফিলে যোগ দিতে সেখানে যান মিজানুর রহমান আজহারী। সে সময় সেখানে টরিকের এই গাড়িতে চড়ে সিঙ্গাপুর ঘোড়েন। তিনি নিজেও অল্প কিছু সময় গাড়ি চালান। সে সময় তোলা ছবিগুলোই আজহারী বিরোধীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে অপপ্রচারে নেমেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, গাড়ির নেমপ্লেট দেখলেই বোঝা যায় এটা মালয়েশিয়ার কোনো গাড়ি নয়। এখানে SJZ888IR লেখা। আর এমন নেমপ্লেট সিঙ্গাপুরের গাড়িগুলোর হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান আজহারীর সঙ্গে সাহিদুজ্জামান টরিকের সুসম্পর্ক রয়েছে। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচকমলাপুর দারুল উলুম হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আজহারী যোগ দিয়েছিলেন। ওই মাদ্রাসার পরিচালক সাহিদুজ্জামান টরিক।
সেদিন প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে মাহফিলের আয়োজন করা হলেও মুসল্লিরা জায়গা না পেয়ে আশপাশের রাস্তা ও যানবাহনে দাঁড়িয়ে আজহারীর বক্তব্য শোনেন। আজহারীর বক্তব্যের সময় সাহিদুজ্জামান টরিককে তার পাশেই দেখা গেছে।
আলোচনার শুরুতে আজহারী বলেন, এ মাহফিলের আয়োজক সাহিদুজ্জামান টরিক আমার বড়ভাই। তিনি একজন শিল্পপতি ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্সের সাবেক সভাপতি। সিঙ্গাপুর গেলে আমি তার কাছেই থাকি। গত কোরবানি ঈদে সেখানে তার তত্ত্বাবধানে বেশ কয়েকটি ইসলামি প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হয় সাহিদুজ্জামান টরিকের সঙ্গে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, যে গাড়ি নিয়ে এত কথা হচ্ছে সেটির মালিক মিজানুর রহমান আজহারী নন। গাড়িটির মালিক আমি। তিনি (আজহারী) সিঙ্গাপুরে মাহফিল করতে এলে আমার গাড়িতে চড়েন। তখন কিছু সময় তিনি গাড়িটি ড্রাইভ করেন। এর বেশি কিছু নয়।
চুয়াডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত সেই মাহফিলে সাহিদুজ্জামান টরিকে ব্যাপারে আজহারীর বক্তব্যটি শুনুন -
ভিডিওস> Videos >> https://www.facebook.com/mm19official/videos/245254806466380/
https://www.facebook.com/mm19official/videos/245254806466380/
যুগান্তর রিপোর্ট
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ছবি: ফেসবুক |
ছবিতে আজহারীকে ‘বেন্টলি স্টাইল স্পার’ মডেলের যে গাড়িটি চালাতে দেখা যাচ্ছে তার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫ কোটি টাকা।
ছবিগুলো আজহারীর সমালোচকরা বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও ‘নাইদরেইনস’ নামে এক আইডি থেকে পোস্ট করে প্রশ্ন ছুড়ছেন, ইসলামের একজন দাঈ হয়ে মালয়েশিয়ায় কি করে এতো দামি গাড়ি কেনেন আজহারী? মাহফিলে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) ও সাহাবাদের ত্যাগী ও সাদাসিধে জীবনের কথা বলে মালয়েশিয়ায় কি তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন?
সমালোচকরা বলছেন, দেশে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেই মালয়েশিয়ায় চলে গেছেন আজহারী।
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আজহারীভক্তদের সঙ্গে তার বিরোধীরা তুমুল বাকবিতণ্ডায় মেতেছেন।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বিলাসবহুল গাড়ি আজহারীর নয় এবং তিনি মালয়েশিয়ায় গিয়ে এ গাড়ি চালাননি। ছবিগুলোও সম্প্রতি সময়ের তোলা নয়।
মূলত এ গাড়িটি আজহারী চালিয়েছেন সিঙ্গাপুরে। আর গাড়ির মালিকের নাম-সাহিদুজ্জামান টরিক।
সাহিদুজ্জামান টরিকের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, সাহিদুজ্জামান টরিক সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বারের সাবেক সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। গত বছরের আগস্টে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ কমিউনিটির নিমন্ত্রণে এক মাহফিলে যোগ দিতে সেখানে যান মিজানুর রহমান আজহারী। সে সময় সেখানে টরিকের এই গাড়িতে চড়ে সিঙ্গাপুর ঘোড়েন। তিনি নিজেও অল্প কিছু সময় গাড়ি চালান। সে সময় তোলা ছবিগুলোই আজহারী বিরোধীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে অপপ্রচারে নেমেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, গাড়ির নেমপ্লেট দেখলেই বোঝা যায় এটা মালয়েশিয়ার কোনো গাড়ি নয়। এখানে SJZ888IR লেখা। আর এমন নেমপ্লেট সিঙ্গাপুরের গাড়িগুলোর হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান আজহারীর সঙ্গে সাহিদুজ্জামান টরিকের সুসম্পর্ক রয়েছে। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচকমলাপুর দারুল উলুম হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আজহারী যোগ দিয়েছিলেন। ওই মাদ্রাসার পরিচালক সাহিদুজ্জামান টরিক।
সেদিন প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে মাহফিলের আয়োজন করা হলেও মুসল্লিরা জায়গা না পেয়ে আশপাশের রাস্তা ও যানবাহনে দাঁড়িয়ে আজহারীর বক্তব্য শোনেন। আজহারীর বক্তব্যের সময় সাহিদুজ্জামান টরিককে তার পাশেই দেখা গেছে।
আলোচনার শুরুতে আজহারী বলেন, এ মাহফিলের আয়োজক সাহিদুজ্জামান টরিক আমার বড়ভাই। তিনি একজন শিল্পপতি ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্সের সাবেক সভাপতি। সিঙ্গাপুর গেলে আমি তার কাছেই থাকি। গত কোরবানি ঈদে সেখানে তার তত্ত্বাবধানে বেশ কয়েকটি ইসলামি প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হয় সাহিদুজ্জামান টরিকের সঙ্গে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, যে গাড়ি নিয়ে এত কথা হচ্ছে সেটির মালিক মিজানুর রহমান আজহারী নন। গাড়িটির মালিক আমি। তিনি (আজহারী) সিঙ্গাপুরে মাহফিল করতে এলে আমার গাড়িতে চড়েন। তখন কিছু সময় তিনি গাড়িটি ড্রাইভ করেন। এর বেশি কিছু নয়।
চুয়াডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত সেই মাহফিলে সাহিদুজ্জামান টরিকে ব্যাপারে আজহারীর বক্তব্যটি শুনুন -
ভিডিওস> Videos >> https://www.facebook.com/mm19official/videos/245254806466380/
https://www.facebook.com/mm19official/videos/245254806466380/
যুগান্তর রিপোর্ট
Tags:
ISLAMIC
আল্লাহ্ হেদায়েত করুক।
ReplyDelete